নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে হংকংয়ে বিক্ষোভ, টিয়ার গ্যাস

হংকংয়ে চীনের সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর পরিকল্পনার প্রতিবাদে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 11:19 AM
Updated : 24 May 2020, 11:19 AM

রোববার হংকংয়ের ওয়ান চাই জেলার শপিং এলাকা কজওয়ে বে-তে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ‘হংকং স্বাধীন কর’, ‘হংকংয়ের স্বাধীনতাই একমাত্র পথ’, ধ্বনিতে স্লোগান দিয়েছে। পুলিশ ১২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে জারি থাকা গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা কেবল মাস্ক পরে রাস্তায় মিছিল করে বিক্ষোভে নামলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং জলকামান ব্যবহার করে।

কিছু কিছু বিক্ষোভকারী এ সময় পুলিশের দিকে ছাতা এবং পানির বোতল ছুড়ে মারে।ময়লার বাক্স এবং আবর্জনা দিয়ে রাস্তা অবরোধ করারও চেষ্টা চালায় তারা।

চীন গত বৃহস্পতিবার হংকংয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা, দেশদ্রোহ নিষিদ্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর প্রস্তাব দেওয়ার পর এটিই সেখানে প্রথম বড় ধরনের বিক্ষোভ।

রোববারের এ বিক্ষোভ অনেকটাই গতবছর হংকংয়ে ঘটে যাওয়া সহিংস বিক্ষোভের চেহারা নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি খবরে।

গত বছর হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে সেখানে ৮ হাজার ৪শ’র বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে।

চীনের নিরাপত্তা আইন চালুর খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা সমুন্নত করতে হবে। তাছাড়া, প্রয়োজনবোধে সেন্ট্রাল পিপলস গভমেন্ট সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো আইনানুযায়ী জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালনে হংকংয়ে বিভিন্ন সংস্থাও স্থাপন করবে।

চীন আইনটি পাসের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২শ’ রাজনীতিবিদ এরই মধ্যে চীনের এ পরিকল্পনার সমালোচনা করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের কথায়, এ আইন হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসন, আইনের শাসন এবং মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আঘাত।

তবে হংকংয়ের ক্যারি লাম সরকার প্রস্তাবিত আইনটি পাসে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এতে হংকংয়ের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে না বলে জানিয়েছে।