আফগান সরকারের সঙ্গে ৩ দিনের ঈদ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা তালেবানের

ঈদের জন্য আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 07:39 AM
Updated : 24 May 2020, 08:56 AM

বিবিসি জানায়, রোববার আফগানিস্তানে ঈদুল ফিতর পালিত হবে; সেই দিন থেকেই তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। 

গত কয়েক সপ্তাহে সরকারি বাহিনীগুলোর ওপর বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পর জঙ্গি গোষ্ঠীটি এ ঘোষণা দিলো।

তালেবানের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তার সৈন্যরা সাময়িক এ যুদ্ধবিরতির শর্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিন দিনের এ যুদ্ধবিরতি দেশটিতে দীর্ঘ মেয়াদে সহিংসতা হ্রাস পাওয়ার আশা উস্কে দিতে পারে, কিন্তু ২০১৮ সালেও ইদুল ফিতরের সময় একই ধরনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হলেও তা আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

শনিবার এক ঘোষণায় তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “কোথাও শত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কোনো অভিযান চালাবেন না। যদি শত্রুরা আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে আত্মরক্ষা করবেন।”

শুধু ইদুল ফিতরের জন্য এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক টুইটে প্রেসিডেন্ট গনি লিখেন, “আমি যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। তিন দিনেই এই যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে (সামরিক বাহিনীকে) নির্দেশনা দিয়েছি আমি এবং শুধু আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষা করতে বলেছি।”

বিদ্রোহ শুরু করার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলো তালেবান। 

প্রথমবার ২০১৮ সালে ইদুল ফিতরের সময় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল গোষ্ঠীটি। সেবার ঈদের দিন তালেবান যোদ্ধারা ও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে একসঙ্গে সেলফিও তুলেছিল। কিন্তু এবার নিজেদের যোদ্ধাদের সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেছে তালেবান, তাই কোলাকুলি ও সেলফি এবার আর হচ্ছে না।

চলতি বছরের প্রথমদিকে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার সময় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান একটি সমঝোতা চুক্তি করে। ওই সময়ে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখলেও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রাখে।

মার্চ থেকে সরকার ও তালেবানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বন্দি বিনিময় নিয়ে বিতর্ক ও পরে লড়াইয়ের মাত্রা বৃদ্ধিতে তা পিছিয়ে যায়। তবে সাময়িক এই যুদ্ধবিরতিতে ওই আলোচনা শেষ পর্যন্ত শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।