প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তুর্কি এই বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস বলেছেন, “ তার (খাশুগজি) খুনিদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই।”
শুক্রবার টুইটারে নিহত সৌদি সাংবাদিকের ছেলে সালাহ খাশুগজি বলেন, “আমরা শহীদ জামাল খাশুগজির ছেলেরা ঘোষণা করছি, যারা আমাদের বাবার হত্যাকারী, আমরা তাদের ক্ষমা ও মার্জনা করছি।”
এরপরই পাল্টা এক টুইটে খাশুগজির বাগদত্তা চেঙ্গিস লেখেন, “জামাল খাশুগজি আমাদের যে কারো তুলনায় বড় ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। সবাই তার প্রশংসা করেছে, তাকে ভালোবেসেছে।”
“আমাদের বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে তার দেশের কনস্যুলেটে গিয়ে তিনি খুন হন। তার খুনিরা সৌদি আরব থেকেই পূর্বপরিকল্পনা করে সুযোগবুঝে তাকে মারতে এসেছিল।”
এ হত্যাকাণ্ডকে জঘন্য আখ্যা দিয়ে চেঙ্গিস বলেন, জামালের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তিনি এবং অন্যরা কেউ থামবে না।
এক সময় সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জামাল খাশুগজি পরবর্তীতে দেশটির শাসনকাঠামো ও শাসকদের তীব্র সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতর তাকে হত্যার ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
রিয়াদ থেকে আসা ১৫ গুপ্তচর ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখককে হত্যার পর তার লাশ গুমে জড়িত ছিল বলে সেসময় আঙ্কারা দাবি করেছিল।
সৌদি আরবের কৌঁসুলিরা পরে এ ঘটনায় ১১ জনকে অভিযুক্তও করেন। বিচারে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং বাকিরা ছাড়া পান বলে গত বছরের ডিসেম্বরে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।