টানা বৃষ্টির পর দুই বাঁধ ধসে বন্যা মিশিগানে

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দুই বাঁধ ভেঙে বন্যা দেখা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2020, 12:25 PM
Updated : 20 May 2020, 01:18 PM

ইডেনভিল ও স্যানফোর্ড বাঁধ ধসে পড়ার পরপরই দেশটির আবহাওয়া বিভাগ তিত্তাবাওয়াসি নদীর আশপাশের এলাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বন্যায় ডেট্রয়েট থেকে ২০৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহর মিডল্যান্ডের একাংশ ৯ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।

মঙ্গলবার বাঁধ দুটি ধসে পড়ার পরপরই মিশিগানের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার ৪০ হাজার বাসিন্দার শহর মিডল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

“সাধারণত এরকমটা দেখিনি আমরা। মহামারীর মধ্যে এমন বিপর্যয়, ভাবা যায় না,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিনি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অঙ্গরাজ্যটির কর্তৃপক্ষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার সময় বাসিন্দাদের মুখে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলতেও পরামর্শ দিয়েছে।

পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ বিপজ্জনক ও প্রাণসংহারী’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ (এনডব্লিউএস)।

টানা বৃষ্টির কারণে যে দুটি বাঁধ ধসে পড়েছে তার মধ্যে ইডেনভিলের বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল ১৯২৪ সালে। বাঁধটির অবস্থা সন্তোষজনক নয় বলে ২০১৮ সালে রাজ্য কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।

ওই একই প্রতিবেদনে ১৯২৫ সালে নির্মিত স্যানফোর্ড বাঁধ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মিশিগান ভ্রমণের কথা রয়েছে। তিনি অঙ্গরাজ্যটিতে ফোর্ডের একটি কারখানায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উপকরণ ভেন্টিলেটরের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে যাবেন।

মিশিগানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; মৃতের সংখ্যাও ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

কারখানা দেখতে ট্রাম্পের এ উড়ে আসা নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় মিশিগানের গভর্নরের দেওয়া ‘বিধিনিষেধের লংঘন’ হলেও হুইটমার প্রেসিডেন্টের সফর আটকানোর চেষ্টা করবেন না বলে তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে আসা হুইটমেরকে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের ‘রানিং মেট’ হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

অগাস্টে উইসকনসিনের দলীয় সম্মেলনেই ডেমোক্র্যাটরা নভেম্বরের নির্বাচনে তাদের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঠিক করবেন।