বৃহস্পতিবার জাপানের ৪৭টি প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে ৩৯টি থেকেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কেবল রাজধানী টোকিও, ওসাকা নগরী এবং উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপে জরুরি অবস্থা বহাল রয়েছে। এসব জায়গায় প্রতিদিনই মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একমাস আগে গত ৭ এপ্রিলে টোকিওসহ ৬ টি শহর এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী আবে। পরে গোটা দেশেই ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল জরুরি অবস্থা।
এখন জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে আসারই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ সপ্তাহের সরকারি হিসাবমতে, দেশজুড়ে ৭ মে থেকে ৯ দিনে হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। আর রাজধানী টোকিওয় বুধবারের হিসাবে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জনে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী আবে টিভিতে বৃহস্পতিবারের নিউজ কনফারেন্সে জরুরি অবস্থা তোলার ঘোষণা দিয়ে জনগণকে সতর্ক থেকে চলাফেরা করা, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, “সম্ভব হলে ৩১ মে’র আগেই আমরা অন্য জায়গাগুলো থেকেও জরুরি অবস্থা তুলে নিতে চাই।”
জরুরি অবস্থা জারি থাকলে জাপানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লোকজনকে বাড়িতে অবস্থান করার, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আদেশ দেওয়ার অতিরিক্ত ক্ষমতা পায়; কিন্তু আদেশ না মানলে জরিমানা করার সুযোগ তাদের নেই।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জাপানে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৭৮ জনের।