লকডাউন শিথিল হতেই সংক্রমণ বাড়ছে জার্মানিতে

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে জার্মানিতে৷

>>রয়টার্স
Published : 10 May 2020, 04:42 PM
Updated : 10 May 2020, 05:14 PM

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট (আরকেআই) দৈনিক বুলেটিনে জানিয়েছে, সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১ এ পৌঁছেছে৷

অর্থাৎ, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ ঘটানোর হার (রিপ্রোডাকশন রেট) বেড়েছে। রোগীরা এখন গড়ে একজনের বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছেন৷

এতেই বোঝা যাচ্ছে, জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সংক্রমণের হার ১ এর নিচে রাখতে হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জার্মানিতে গত ২০ এপ্রিল প্রাথমিকভাবে লকডাউন কিছুটা শিথিলের ঘোষণা দিয়ে ছোট ছোট দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এরপর গত বুধবার ১৬ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল আরেক ধাপে নিয়ম কানুন শিথিলের ঘোষণা দেন৷

দোকান, বাজার খোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাধানিষেধ তুলে নিয়ে আরো বেশি দোকনপাট খুলে দেওয়া হয়। স্কুলও ধীরে ধীরে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ফেডারেল স্তরেও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে নিজ পরিবারের বাইরে অন্য একটি পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে মানুষের মেলামেশার অনুমতি দেওয়া হয়৷

শনিবার লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেওয়ার দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই আরো দ্রুত লকডাউন তোলার দাবিও জানায়। এরপরই সংক্রমণের নতুন হারের খবর এল।

জার্মানির এক স্যোশাল ডেমোক্র্যাট এমপি এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বাইরে এত মানুষের এই সমাবেশের ফলে করোনাভাইরাস আবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করতে পারে।

বিশ্বে আক্রান্তের দিক দিয়ে জার্মানি সপ্তম স্থানে আছে। রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট রোববার জানিয়েছে, দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৭ জন বেড়ে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১৬৯,২৮১ জনে। আর দৈনিক মৃত্যু ২৬ জন বেড়ে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭ হাজার ৩৯৫ জন।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে জার্মানি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। বৃহৎ পরিসরে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা এবং কার্যকর লকডাউনের কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর চাইতে জার্মানিতে ভাইরাসে মৃত্যু কম হয়েছে।

কিন্তু গত বুধবার লকডাউনের বিধিনিষেধ অরো বেশি শিথিলের ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।

অবশ্য বিধিনিষেধ শিথিল করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে কড়াকড়ি আবার চালু করার ব্যবস্থাও রেখেছেন মের্কেল।

এ ব্যবস্থায় প্রতি ১ লাখ মানুষে সংক্রমণ ৫০ জনের উপরে চলে গেলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফের কড়াকড়ি আরোপ করতে পারবে।