করোনাভাইরাস: ফ্রান্সে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে ফ্রান্সে একদিনে ৮৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশটিতে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2020, 04:42 AM
Updated : 7 April 2020, 04:42 AM

কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে মোট মৃত্যুর সংখ্যা মঙ্গলবার সকাল নাগাদ আট হাজার ৯২৬ জন এবং মোট আক্রান্ত ৯৮ হাজার ৯৪৮ জনে দাঁড়িযেছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ওই সময়ের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোতে ৬০৫ জন মারা গেছে এবং নার্সিং হোমগুলোতে আরও ২২৮ জন মারা গেছে, দুই ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরন সতর্ক করে বলেছেন, “আমরা এখনও এই মহামারীর চূড়ায় পৌঁছাইনি। এটি এখনও শেষ হয়নি, তার থেকে অনেক দূরে। পথটি অনেক দীর্ঘ। যে সংখ্যা আমি ঘোষণা করলাম সেটি তাই দেখালো।”

করোনাভাইরাস মহামারীতে ইউরোপেই সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মহামারীতে মারা যাওয়া ৭৪ হাজার ৮০৭ জনের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে এই মহাদেশটিতে।

মৃত্যুর সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষে আছে ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩২ হাজার ৫৪৭ জনের দাঁড়িয়েছে। 

নতুন করে আরও ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে দেশটির সরকার।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস অব্যাহত আছে। এতে দেশটি প্রাদুর্ভাবের সর্বোচ্চ পর্যায় পার করে এসেছে, এমন ধারণায় আশার সঞ্চার হয়েছে।

সোমবার দেশটিতে ৬৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা টানা ১৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৫ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৪১।

এক লাখ তিন হাজার ৩৭৫ জন সংক্রমিত নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় জার্মানি বিশ্বে চতুর্থ স্থানে থাকলেও এখানে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮১০ জনের।

যুক্তরাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ২৭৯ এবং মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩৮৫। দেশটির কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

মহাদেশটির আরও দুটি দেশে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজারের ঘর অতিক্রম করেছে। বেলজিয়ামে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ৮১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৬৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। নেদারল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯২৬ এবং মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৮৭৪ জনে পৌঁছেছে।