করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে উপচে পড়া রোগী ও মৃতদেহের কারণে শহরটির সরকারি সেবা বিভাগগুলো প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ রোগী ভর্তি করার মতো শয্যা অবশিষ্ট নেই। মর্গ, কবরস্থান ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থাপনাও চাপে আছে। মৃতদেহ দাফন করার ব্যবস্থা করতে না পেরে বা রাখার জায়গা না পেয়ে সেগুলো বাড়ির বাইরে রাস্তায় রেখে দিতে হচ্ছে বলে শহরটির কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন।
তবে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলোর মধ্যে কতোজন কোভিড-১৯ এ ভুগে মারা গেছেন তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে সিএনএন।
অনেক পরিবারই জানিয়েছে, তাদের মৃত স্বজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ ছিল; আর অন্যরা বলছেন, রোগীতে উপচে পড়া গুয়াইয়াকিলের হাসপাতালগুলোতে তাদের অসুস্থ স্বজনের ভর্তি করানো যায়নি, তারা বিনা চিকিৎসায়ই মারা গেছেন।
৩০ মার্চ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা এক ভিডিওতে ফের্নান্দো স্পানা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেছেন, “আমরা পাঁচ দিন ধরে অপেক্ষা করে ছিলাম। যতবারই আমরা ৯১১ তে ফোন করেছি তারা আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে বলেছে, তারা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছে।”
এরপর ক্যামেরা ঘুরিয়ে তিনি একটি জানালা দিয়ে আরেকটি ঘরের ভিতরে রাখা কালো পলিথিনে মোড়ানো লাশের মতো আকৃতির কিছু একটা দেখান, সেটির উপরে দুটি ফ্যান ঘুরছিল।
এর পাশাপাশি গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ছবিতে শহরটির রাস্তা ও প্রকাশ্যস্থানে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ২৮ লাখ বাসিন্দারা বন্দর শহরটি ইকুয়েডরের করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
রোববার বিকাল নাগাদ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইকুয়েডরে নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৪৬৫ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৭২।
তবে কোভিড-১৯ এর লক্ষণসহ মারা যাওয়া অনেকের সংক্রমণই শনাক্ত হয়নি বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো বলা হয়েছে।