করোনাভাইরাস সঙ্কটে বিশ্বজুড়ে খাবারের দাম কমেছে: জাতিসংঘ

খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক কয়েকমাস আগেও ছিল উর্ধ্বমুখী।তার মধ্যেই এবছর বিশ্ববাসী বাড়তি দামেও খাবার কিনেছে।তবে করোনাভাইরাস সঙ্কটে পরিস্থিতি পাল্টেছে।চাহিদা কমে যাওয়ায় মার্চ মাসে খাবারের দাম একলাফে কমেছে অনেকটাই।

>>রয়টার্স
Published : 2 April 2020, 02:59 PM
Updated : 2 April 2020, 03:00 PM

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (এফএও) বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে।এফএও ’র মাসিক খাদ্য মূল্যসূচক অনুযায়ী, সিরিয়াল, তৈলবীজ, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং চিনির গড় মূল্য গত মাসে দাঁড়িয়েছে ১৭২.২ পয়েন্টে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় যা ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কম।

খাদ্যপণ্যের যোগান নয় বরং চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই দাম পড়ে যাচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাস সঙ্কটে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মানুষের চাহিদায় এর প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন এফএও এর ঊর্ধ্বতন অর্থনীতিবিদ আব্দুলরেজা আব্বাসিয়ান।

ফএও এর খাদ্যমূল্যসূচকে সবচেয়ে বেশি দাম কমতে দেখা গেছে চিনির। আগের মাসের তুলনায় চিনির দাম কমেছে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলার কারণে কিছু খাদ্যপণ্যের চাহিদা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় খাবারের সম্মিলিত মূল্যসূচক নিম্নমুখী হচ্ছে।

ভোজ্য তেলের মধ্যে ভেজিটেবল অয়েল দাম কমেছে ১২ শতাংশ।অশোধিত খনিজ তেলের দাম কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে পাম অয়েলের দামও।ফলে বিশ্ব বাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

দুগ্ধজাত পণ্যর মূল্যসূচক ৩ শতাংশ কমেছে,মাংসের ০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং সিরিয়ালের কমেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে কমেছে গমের দামও। তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে চালের ক্ষেত্রে।চালের দাম টানা তিনমাস বেড়েছে।করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনেকেই চাল মজুদ করায় এর দামে কমতি দেখা যায়নি।