ইউনিট ইউনিয়নের সঙ্গে সপ্তাহখানেকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা ও দরকষাকষির পর কোম্পানিটি এ বিষয়ক ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
দুই পক্ষই এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছালেও ছোটখাটো মতপার্থক্যের কারণে তা এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি।
করোনাভাইরাসের কারণে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (বিএ) বেশিরভাগ বিমান এখন নিশ্চল পড়ে আছে।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে কোম্পানিটি তাদের কেবিন ক্রু, গ্রাউন্ড স্টাফ, প্রকৌশলী ও সদরদপ্তরে কাজ করা কর্মীদের ৮০ শতাংশের চাকরি সাময়িক স্থগিতের কথা বলেছে; কাউকে পুরোপুরি ছাঁটাই করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে তারা।
চাকরিহারা এ সময়ে কর্মীরা সরকারের দেওয়া তহবিল থেকে বেতনের কিছু অংশ পাবেন।
ইউনিট ইউনিয়ন অবশ্য কর্মীদের জন্য এর চেয়ে বেশি টাকা দাবি করছে; যে কারণে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল দরকাষকষি চলছে বলে জানিয়েছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ জন স্ট্রিকল্যান্ড।
কর্মীদের আগে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ পাইলটদের সঙ্গেও একটি চুক্তি করেছে। তাতে দুই মাস পাইলটদের অর্ধেক বেতন কেটে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স গ্রুপের আওতাধীন বিএ-র আর্থিক অবস্থা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় বেশ ভালো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা বিপুল পরিমাণ আয়ও করেছে।