বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই নিয়মে শুধু নারীরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সোম, বুধ ও শুক্রবার ঘরের বাইরে যেতে পারবেন। আর পানামার পুরুষরা ঘর থেকে বেরোতে পারবেন মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার।
রোববার সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।অন্তত ১৫ দিন এই বিধি-নিষেধ বলবৎ থাকবে বলে পানামার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে পানামা কর্তৃপক্ষ জরুরি প্রয়োজন ও খাবার কিনতে বেরোনো ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়।
তারপরেও উদ্বেগজনকহারে লোকজন ঘরের বাইরে যেতে থাকায় নারী ও পুরুষের জন্য সপ্তাহের দিনগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
পানামা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ওই দিনগুলোতেও নারী ও পুরুষরা বেরিয়ে কেনাকাটার জন্য মাত্র দুই ঘণ্টা সময় পাবেন।
টুইটারে এক বিবৃতিতে পানামার প্রেসিডেন্ট লরেন্তিনো নিতো কোরতিজো বলেছেন, “বাধ্যতামূলক জাতীয় কোয়ারেন্টিন সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘরের বাইরে যাওয়ায় সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।”
পানামায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৫ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে ওই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তারাই সবচেয়ে বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বন্ধ করেছে পানামা। ২২ মার্চ থেকে বিমানবন্দরগুলো বন্ধ করে দিয়েছে তারা। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলছে কারফিউ।