খুব, খুব কষ্টের সময় আসছে: ট্রাম্প

সামনের দুটি সপ্তাহ হবে খুবই কঠিন, আর বেদনাদায়ক- নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নাগরিকদের এমন বার্তা দিয়েই সতর্ক করলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2020, 04:49 AM
Updated : 1 April 2020, 04:49 AM

তিন মাস আগে চীন থেকে ছড়াতে শুরু করা এ ভাইরাস আদৌ কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারবে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এর কতটা প্রভাব পড়বে, সেসব বিষয়ে গত কয়েকটি সপ্তাহে বার বার অবস্থান বদলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৪০০০। কেবল মঙ্গলবারই মৃত্যু হয়েছে ৮৬৫ জনের, যা যুক্তরাষ্ট্রে একদিনের রেকর্ড।

সংক্রমণ ছড়ানোর গতি কমাতে পুরো দেশের মানুষকে ঘরে থাকার যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় ইতোমধ্যে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে পুরো এপ্রিল মাস। প্রতি চারজন নাগরিকের মধ্যে তিনজনই এখন আছেন লকডাউনে।

সিএনএন লিখেছে,যেসব কঠোর ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে নিয়েছে, সেগুলো ঠিকঠাক অনুসরণ করা গেলেও মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে এক লাখ থেকে আড়াই লাখের মধ্যে।  

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ থেকে দেওয়া বক্তব্যে করোনাভাইরাস মহামারীকে ট্রাম্প বর্ণনা করেন 'একটি প্লেগ' হিসেবে।

তিনি বলেন, “সামনের দুটো সপ্তাহ হবে খুবই বেদনাদায়ক- খুব খুব কষ্টকর দুটো সপ্তাহ। আমি চাই, সামনে যে খারাপ সময় আসছে, আমেরিকার মানুষ সেজন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখুক।” 

বিবিসির অ্যান্থনি জারকার লিখেছেন, পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে উঠেছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর ‘তিক্ত কথায় মিষ্টি প্রলেপ’ দিতে চাইছেন না, তিনি আর ইস্টারের আগে ‘মিরকলের’ কথা বলছেন না। শিগগিরই পুরোদমে ব্যবসা বাণিজ্য চালু করার আশার কথাও তিনি আর শোনাচ্ছেন না।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮০ দেশে এ পর্যন্ত সাড়ে আট লাখের বেশি মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪২ হাজার ৩০০।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বর্তমান পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর সামনে ‘সবচেয়ে বড় পরীক্ষা’ হিসেবে দেখছেন।

তার শঙ্কা, করোনাভাইরাস পৃথিবীকে যে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, নিকট অতীতে ততটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মানুষকে হয়ত আর দেখতে হয়নি।