প্রিন্স হ্যারি-মেগানের নিরাপত্তার খরচ দেবেন না ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন,যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের নিরাপত্তা খরচ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এ খরচ তাদেরকেই দিতে হবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2020, 11:24 AM
Updated : 30 March 2020, 11:43 AM

কানাডা থেকে হ্যারি ও মেগানের যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া এবং সেখানেই থাকার খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প রোববার এক টুইটে একথা বলেছেন।

ট্রাম্প বলেন, “তিনি রানি ও যুক্তরাজ্যের একজন ভাল বন্ধু ও ভক্ত। কিন্ত তাদেরকে অবশ্যই খরচ দিতে হবে।”

হ্যারি ও মেগান অবশ্য বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তার খরচ নেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাদের নেই। ব্যক্তিগত অর্থেই নিরাপত্তা ব্যয়ের বন্দোবস্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কানাডা তাদের সীমান্ত বন্ধ করার আগেই হ্যারি-মেগান দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে গেছেন বলে শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’ পত্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পিপল ম্যাগাজিন।

চলতি বছরের শুরুর দিকেই হ্যারি ও মেগান আর ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতিনিধিত্ব করবেন না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে স্বাধীন জীবন যাপন করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই এ দম্পতি তাদের সন্তানকে নিয়ে কানাডায় বাস করছিলেন।আর এখন করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, রাজপরিবারের জ্যোষ্ঠ সদস্য হিসাবে তারা ৩১ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছেন।এ সময় থেকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষ হয়ে আর কোনও দায়িত্ব পালন করবেন না তারা। তবে একবছর পরে এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।

হ্যারি ও মেগান গত সপ্তাহেই ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে যান।মেগান এখানেই বেড়ে উঠেছেন এবং তার মা এখনো এই শহরে থাকেন বলে জানানো হয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

কানাডা সরকার গত মাসে ঘোষণা দিয়ে বলেছে, রাজপরিবারের ‘স্ট্যাটাস’ পরিবর্তনের কারণে তারা হ্যারি-মেগান পরিবারকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই পথে হাঁটলেন।যুক্তরাষ্ট্রেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকার মধ্যে হ্যারি-মেগানের ব্যয়ভার বহন করতে না চাওয়ার এ ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি মানুষই এই দেশের। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক লাখ ৩৫ হাজার ৪ ৯৯।আর মারা গেছে ২ হাজার ৩৮১ জন।