ভারতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১,৭০০০০ কোটি রুপির প্যাকেজ

ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতি সামাল দিতে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2020, 01:40 PM
Updated : 27 March 2020, 06:40 AM

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে সীতারামন জানান, দেশের গরিব মানুষদের জন্য সরকার এ সময় নগদ অর্থ এবং খাবারে ভর্তুকি দেবে।

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পের আওতায় এ প্যাকেজের ফলে ৮০ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। গরিব কল্যাণ প্রকল্পে এতদিন এ বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিমাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি চাল অথবা গম পেতেন।

আগামী ৩ মাস অতিরিক্ত আরো ৫ কেজি চাল অথবা গম পাবেন তারা। দেওয়া হবে অতিরিক্ত ১ কেজি ডালও। কেউ খালি পেটে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন সীতারামন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই নিম্নগামী ভারতের অর্থনীতি এখন লকডাউনের কারণে আরো নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে। গোটা বিশ্বের মতো ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতিও।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতেই লকডাউন করা হয়েছে। এতে সরাসরি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের স্বার্থ রক্ষায় পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর।

অর্থনীতিকে সচল রাখতে ভারত সরকার এর আগেও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সে পথে হেঁটে এবারও বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন সীতারামন।

 সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আরো যা বলেছেন:

·       গরিবদের তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তার জন্যই বিশেষ এই আর্থিক প্যাকেজ

·       শহর ও গ্রামের গরিবরা ছাড়াও  অভিবাসী শ্রমিকরা এ সাহায্য পাবেন

·       যারা নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কাজ করছেন তাদের জন্য জন প্রতি ৫০ লাখ রূপির চিকিৎসা বীমা থাকবে

·       এদের মধ্যে থাকছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক / স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ে কাজ করে আসা কর্মীরা

·       এতে ২০ লাখ শ্রমিক লাভবান হবেন

·       প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনায় বর্তমানে বছরে কৃষকরা ৬ হাজার রূপি পান। এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এপ্রিল থেকে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২ হাজার রূপি করে জমা পড়বে।

·       ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২০২ রূপি। যা আগে ছিল ১৮২ রূপি। এতে প্রায় ৫ কোটি পরিবার উপকৃত হবে।

·       যেসব সংস্থার কর্মীসংখ্যা ১শ’র কম এবং সংস্থার ৯০% কর্মীর বেতন ১৫ হাজারের কম, তাদের হয়ে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে ২৪ শতাংশ অর্থই জমা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ, নিয়োগকর্তা এবং কর্মী, দুপক্ষের হয়েই কেন্দ্র তহবিল দেবে।

·        সামাজিক পেনশন প্রকল্পে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, বিধবা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য অতিরিক্ত ১০০০ রূপি দেওয়া হবে।