খাও এটা: ‘করোনাবার্গার’ দিয়ে আনন্দ বিলাচ্ছেন ভিয়েতনামি শেফ

একে পরাজিত করতে হলে, তোমাকে এটা খেতেই হবে- এই দর্শনের ওপর ভিত্তি করে সবুজ রঙের করোনাভাইরাস থিমের বার্গার দিয়ে এভাবেই রাজধানী হ্যানয়ের বাসিন্দাদের উদ্ধুদ্ধ করছেন ভিয়েতনামের একজন শেফ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2020, 10:48 AM
Updated : 26 March 2020, 11:04 AM

মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাসের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে হোয়াং টুং নামের ওই শেফ এবং তার দল এখন প্রতিদিন ডজনের ওপর এমন ‘করোনাবার্গার’ বানাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

টুংয়ের এ বার্গারে হালকা সবুজ রংয়ের বানগুলো পূর্ণতা পেয়েছে বেসন দিয়ে বানানো মুকুট আকৃতির আবরণে; যার সঙ্গে সহজেই সাদৃশ্য মিলবে করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কপিক ছবির।

“আমরা এমন মজাই করছি, যে আপনি যদি কিছু নিয়ে আতঙ্কিত থাকেন, তাহলে তা খেয়ে ফেলুন। করোনাভাইরাস আকৃতির এ বার্গারটি খেলে আপনার আর ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত থাকতে হবে না; মহামারীর মধ্যে এ ধরনের ভাবনা আনন্দ ছড়ায়,” হ্যানয়ের উপকণ্ঠে নিজের দোকান পিজা হোমে এমনটাই বলেছেন টুঙ।

কভিড-১৯ এর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভিয়েতনামে যেখানে বন্ধ হওয়া দোকানের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে তার দোকানে প্রতিদিন এরকম অন্তত ৫০টি বার্গার বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান এ শেফ।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেই ভিয়েতনাম দেশের ভেতরকার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার খবর দিলেও পরে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি ও প্রবাসী ভিয়েতনামিদের হাত ধরে দেশটিতে ফের ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৪৮ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি মিললেও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ হ্যানয় ও হো চি মিন সিটির দরকারি নয় এমন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তবে টুংয়ের টেকওয়ে শপের মতো কিছু খাবারের দোকান এখনও খোলা রয়েছে।

বাসিন্দাদের অনেকে এরই মধ্যে পিজা শপের ‘করোনাবার্গারের’ প্রেমেও পড়ে গেছেন। এদেরই একজন ডাং দিন কাই; নাতিকে নিয়ে এসেছেন টুংয়ের দোকানে। ৬৬ বছর বয়সী এ ব্যক্তি সবুজ রঙের ‘করোনাবার্গার’কে দেখছেন মনোবল বাড়ানোর খাদ্য হিসেবে।

“করোনাভাইরাস বেশ বিপজ্জকন। কিন্তু যদি আমরা ভাইরাস আকৃতির একটি বার্গার খেয়ে ফেলি, তাহলে মনে হবে, আমরা এরই মধ্যে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতে গেছি। যদি আপনি এটাকে হারাতে চান, তাহলে আপনার একে খেয়ে ফেলতে হবে,” বলেছেন কাই।