বিবিসি উর্দু কে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কভিড-১৯ এর কারণে ওমরের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েই শ্রীনগরের হরি নিবাসে পৌঁছান ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ।সেখানে গিয়েই সাংবাদিকদের ওমর বলেন,বন্দি দশায় থকা সব কাশ্মীরী নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন তিনি।
এর আগে গত ১৩ মার্চে মুক্তি পেয়েছিলেন ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লাহ। তিনিও জম্মু-কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
ভারত গতবছর ৫ অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়। এরপরই কাশ্মীরকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয় এবং জননিরাপত্তা আইনে একাধিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বন্দি করা হয়। তাদের মধ্যেই ছিলে আবদুল্লাহ পরিবারের ফারুক ও তার ছেলে ওমর।
সম্প্রতি ওমরকে বন্দি করে রাখা অসাংবিধানিক দাবি করে তার মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার বোন।তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে ওমরের মুক্তির বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশ দিতে বলেছিল।
ফারুক এবং ওমর আবদুল্লাহ ছাড়া পেলেও এখনো বন্দি রয়েছেন আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মীরের আরো অনেক রাজনৈতিক নেতা।তাদের সংখ্যা কত তা জানা নেই। কারো কারো ধারণা,এ সংখ্যা হাজার হতে পারে কয়েক হাজার।