দ্রুততম সময়ে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে জিন গবেষণায় সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা

সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা জিনের পরিবর্তন ধরতে পারার এমন এক উপায় উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ দ্রুততর হবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2020, 11:08 AM
Updated : 24 March 2020, 11:08 AM

দেশটির ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের কৌশলে সম্ভাব্য টিকাগুলোর কার্যকারিতা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্কুলটির অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রকৌশল প্রতিষ্ঠান আর্কটারাস থেরাপেটিকসই সম্ভাব্য এ টিকা সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মানবদেহে সম্ভাব্য টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষায় সাধারণত কয়েক মাস লেগে যায়। সে তুলনায় ডিউক-এনইউএস স্কুলের উপায়ে কম সময় লাগবে, দাবি বিজ্ঞানীদের।  

“কোন কোন জিন সচল, কোনটি নয়, জিনগুলোর পরিবর্তনের উপায় জানতে পারবেন আপনি,” বলেছেন ডিউক-এনইউএস স্কুলের উদীয়মান সংক্রামক রোগ প্রকল্পের উপপরিচালক ওই এং ইয়ং।

জিনের পরিবর্তন দ্রুত ধরতে পারলে তা মানবদেহে টিকার প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বের করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে, বলেছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের টিকা কিংবা এর চিকিৎসার কার্যকর কোনো ওষুধ বের হয়নি। ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৬ হাজার।

কভিড-১৯ এ আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীকেই মূলত শুশ্রুষা দেওয়া হচ্ছে; গুরুতর রোগীদের শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিক রাখতে দেয়া হচ্ছে ভেন্টিলেটর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসটির প্রতিষেধক পেতে পেতে এক বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে।

তবে ওই এং ইয়ং বলছেন, তারা  এক সপ্তাহের মধ্যে ইঁদুরের ওপর সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করছেন; মানবদেহে এ পরীক্ষা হবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ভাগে।