দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি ছিল চোখ কপালে তোলার মতোই। প্রতি ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হচ্ছিল ২৫ জন করে।
আর সে দেশেই এখন গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৬৪ জনকে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৬১ জনে। আর মারা গেছে ১১১ জন।
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অবশ্য এখনো সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে আছে আরো দীর্ঘ লড়াই।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের।
ভাইরাসের লক্ষণ থাকা মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দেশটি সরকারি এবং বেসরকারি ল্যাবরাটরি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ছাড়াও বহু সংখ্যক কেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।
২০১৫ সালে মিডিলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) এর প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ছেঁয়াচে রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে নানা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সেসব ব্যবস্থা কাজে এসেছে।
তাছাড়া, বাড়তি পদক্ষেপ হিসাবে সপ্তাহের শেষদিকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার মানুষজনকে সতর্ক এবং সচেতন করে রোগ প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিয়েছে। জনসমাগম এড়ানো এবং একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি লকডাউনের মত পদক্ষেপও নিয়েছে।