সংস্থাটির আপৎকালীন বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান রোববার এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, লকডাউন করে ভাইরাস সংক্রমণে আপাতত রাশ টানা গেলেও ভবিষ্যতে তা আবার ফিরে আসতে পারে। ফলে তা ঠেকাতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিবিসি’র এন্ড্রু মার শো’ তে এক সাক্ষাৎকারে রায়ান বলেন, “এখন আমাদের আসলেই যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার তা হচ্ছে, অসুস্থদের খুঁজে বের করা, করোনাভাইরাস আক্রান্ত যারা তাদেরকে চিহ্নিত করা এবং তাদেরকে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকেও আইসোলেট করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য কোনও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ না নিয়ে শুধুমাত্র সবকিছু লকডাউন করে দেওয়ার এই চিন্তা-ভাবনা এ মুহূর্তে বিপজ্জনক। কারণ, মানুষের চলাফেরায় আরোপ করা সব বাধানিষেধ যখন উঠে যাবে এবং লকডাউন তুলে নেওয়া হবে তখন ফের রোগটি দেখা দেওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।”
করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করতে চীন, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন মাইক রায়ান। তিনি বলেন, এ ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই দেশগুলো লকডাউনের পাশাপাশি যাদের দেহে এই রোগ আছে বলে সন্দেহ করেছে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এ পন্থা অনুসরণীয় বলে মত দিয়েছেন তিনি।
রায়ান এও জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই এ টিকা পরীক্ষা করেছে।
টিকা তৈরি সময়সাপেক্ষ। তবে টিকা এক সময় আসবে। তার আগে ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে নিজেরাই উদ্যোগী হতে হবে এবং এ মুহূর্তে যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন রায়ান।