হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় কুকুর শনাক্ত

হংকংয়ে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত এক নারীর পোষা কুকুরের দেহেও করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে বলে চীননিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির সরকার নিশ্চিত করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 11:16 AM
Updated : 22 March 2020, 11:16 AM

কয়েক দফা পরীক্ষায় কুকুরটির দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

হংকংয়ের কৃষি, মৎস্য ও সংরক্ষণ বিভাগের (এএফসিডি) বিবৃতিতে জানানো হয়, পোক ফু লাম এলাকায় বসবাস করা ওই জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুরটিকে একই এলাকার অন্য একটি মিশ্র জাতের কুকুরের সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

“মিশ্র জাতের কুকুরটির দেহে এখন পর্যন্ত ভাইরাস পাওয়া যায়নি; কোনো কুকুরের মধ্যেই কভিড-১৯ এর উপসর্গ নেই। আমাদের বিভাগ দুটি কুকুরকেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে এবং ধারাবাহিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে,” বলেছে তারা।

এএফসিডি এক সতর্কবার্তায় কুকুর, বিড়ালদের ধরার আগে ও পরে এগুলোর দেখভালকারীদের ভালোমতো হাত ধুয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছে। পোষ্যপ্রাণীদের খাবার ও অন্যান্য কিছু ধরার বেলায়ও একই সতর্কতা মেনে চলতে বলেছে তারা। পোষা কুকুর ও বেড়ালকে চুমু না খেতেও পরামর্শ দিয়েছে তারা।

কৃষি, মৎস্য ও সংরক্ষণ বিভাগ বলছে, কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার স্তন্যপায়ী পোষাপ্রাণীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

পোষা প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও আশ্বস্ত করেছে তারা।

হংকংয়ে এর আগে পোমেরানিয়ান একটি কুকুরের মধ্যেও ভাইরাসটির ‘দুর্বল উপস্থিতি’ মিলেছিল। ১৭ বছর বয়সী ওই কুকুরটিকে কয়েক দফা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাড়ি ফেরার তিনদিন পর সোমবার মারা যাওয়া ওই কুকুরটিই ছিল কভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া বিশ্বের প্রথম কুকুর। 

চিকিৎসকরা বলছেন, কেবল করোনাভাইরাসের কারণেই পোমেরানিয়ান কুকুরটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন না তারা। তাদের ইঙ্গিত, বয়স এবং প্রাণঘাতী ভাইরাসটির কারণে সৃষ্ট অসুস্থতাই এটির মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

পোক ফু লামের যে দুটো কুকুরকে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলোর মালিক এমারেল্ড গার্ডেনের ৩০ বছর বয়সী এক নারী।

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্যারিস ও লন্ডন ভ্রমণ শেষে ৬ মার্চ হংকংয়ে ফেরা এ নারীর দেহে বুধবার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তার স্বামীর শরীরেও ভাইরাসটির উপসর্গ পাওয়া গেছে, তাকেও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এএফসিডি জানিয়েছে, দুটো কুকুর ছাড়াও তারা আরও চারটি বেড়ালকে কোয়ারেন্টিনে রেখেছে।

পৃথক কক্ষে রাখা এ বেড়ালগুলোকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয় না; প্রতিদিন তাদের পরীক্ষা করার পাশাপাশি সবধরনের যত্নআত্তিও করা হচ্ছে বলে দ্য পোস্টকে জানিয়েছেন বিভাগটির এক মুখপাত্র।