দেশটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবারের ৩ হাজার চার থেকে বেড়ে শুক্রবার ৪ হাজার ২০৯ জনে পৌঁছেছে।
মাদ্রিদ,বাস্ক কাউন্টি এবং লা রিওজা অঞ্চলেই ভাইরাসটি বেশি ছড়িয়েছে।আর মৃতের সংখ্যা ৮৪ থেকে একদিনেই বেড়ে হয়েছে ১২০।
সামনে আরো কঠিন সময় আসছে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ। তিনি বলেন,আগামী সপ্তাহেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারে পৌঁছতে পারে। তবে সরকার এ সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনে সবকিছু করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
জরুরি অবস্থা জারি থাকলে স্পেন সরকার ১৫ দিনে করোনাভাইরাস ঠেকাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে পারবে। যেমন:
· মানুষ ও যান চলাচল সীমিত রাখা
· ছুটির নির্দেশ দেওয়া
· কিছু এলাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা
· শিল্প ও কৃষি এলাকায় কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্পেনজুড়ে এরই মধ্যে স্কুল,সিনেমাহল, থিয়েটার এবং ক্রীড়াঙ্গনও বন্ধ হওয়ায় সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে গেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পর স্পেনেই করোনাভাইরাসের দাপট সবচেয়ে বেশি।ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে ইউরোপের অনেক দেশই সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে,বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ১১৮ টি দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে ১২৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষ। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬শ’ মানুষের।