বিবিসি জানিয়েছে, কাতাইব হিজবুল্লাহর ৫টি অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে এ হামলা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুধবার তাজি সামরিক ঘাঁটিতে ১৮টি কাতিউশ রকেট আঘাত হানে। সেদিনের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
ইরানপন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহই এ হামলা চালিয়েছে বলে এক মার্কিন কমান্ডার দাবিও করেছিলেন।
“কাতাইব হিজবুল্লাহরই ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর ওপর এ মাত্রার হামলা চালানোর সামর্থ্য আছে,” মার্কিন সিনেটের কমিটিকে এমনটিই বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বিমানগুলো ইরানপন্থি কাতাইব হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
“এসব স্থাপনার মধ্যে তাদের অস্ত্রাগারগুলো আছে, যেখান থেকে নেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করেই যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর ওপর হামলা হয়। আমাদের পাল্টা হামলা ছিল আত্মরক্ষামূলক, সমানুপাতিক এবং ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর হুমকির সরাসরি প্রতিক্রিয়া,” বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার।
যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিক, স্বার্থ এবং মিত্রদের ওপর হামলা সহ্য করবে না এবং এগুলো রক্ষায় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী উত্তর সিরিয়া ইরান সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যদের ওপর বিমান হামলার কথা অস্বীকার করেছিল।
পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই ঘাঁটিতে হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল বলে যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা দাবি করেছিল।
বুধবার রাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ইমাম আলি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে বলেও জানিয়েছিল তারা। ঘাঁটিটি ইরানই বানিয়েছিল বলেও অনুমান করা হয়।