দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়ানোয় ক্ষমা চাইলেন চার্চ প্রধান

দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ধর্মীয় গোষ্ঠী শিনচিওঞ্জি চার্চের প্রধান লি মান-হি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2020, 01:18 PM
Updated : 2 March 2020, 06:23 PM

ক্ষুদ্র শিনচিওঞ্জি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ‘শিনচিওঞ্জি চার্চ অব জেসাস’ এর প্রতিষ্ঠাতা লি মান-হি এক সংবাদ সম্মেলনে হাঁটু গেড়ে বসে মাথা নত করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই ওই চার্চের সদস্য।

সোমবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৬ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৪ হাজার ২১২ জনে। তাছাড়া, ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।

অবহেলার অভিযোগে লি মান-হি’র বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে বলা হয়েছে কৌঁসুলিদেরকে।

৮৮ বছর বয়সী এ ধর্মীয় নেতা বলেন,“এটি যদিও ইচ্ছাকৃত নয়, তবুও অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু এটি প্রতিরোধ করতে পারিনি।”

আক্রান্তদের ৩ হাজার ৮১ জনই দক্ষিণাঞ্চলীয় দায়েগু শহরের অধিবাসী এবং তাদের ৭৩ শতাংশই কাছের শিনচিওঞ্জি চার্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রকট আকার ধারণ করছে।কর্তৃপক্ষ বলছে, গতমাসে দায়েগু শহরে ওই সম্প্রদায়েরই একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। তারপরই তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

শিনচিওঞ্জি চার্চের প্রতিষ্ঠাতা লি মান-হিসহ অন্য আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তারা তাদের সম্প্রদায়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নাম প্রকাশ না করে এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। কর্মকর্তারা করোনাভাইরাস রোগীদের শনাক্ত করার চেষ্টার সময় তারা ভাইরাস আক্রান্তদের নাম গোপন করেছেন।

ফলে লিসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে নরহত্যা, ক্ষতিসাধন করা এবং সংক্রামক রোগ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের অভিযোগ দাখিল হয়েছে।

চার্চের মুখপাত্র কিম শিন-চ্যাং বিবিসিকে জানান, তারা কর্তৃপক্ষকে তাদের সদস্য, শিক্ষার্থী ও নামের একটি তালিকা দিয়েছিলেন। তবে তিনি বলেন,“এই তথ্য প্রকাশিত হলে আমাদের সদস্যরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম।”