২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনাভিযানে গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে আইসিজেতে গাম্বিয়ার করা মামলায় যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে খ্যাতনামা এই ব্রিটিশ আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।
বুধবার মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিজেতে মালদ্বীপকে প্রতিনিধিত্ব করবেন আমাল ক্লুনি।
”একজন দক্ষ ব্যারিস্টার ও মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনি। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জবাবদিহি ও আইনি প্রতিকারের বিষয়ে তার সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখছে মালদ্বীপ।”
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার এই মামলার পর রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে চার দফা অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ নিতে গত ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয় আইসিজে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে যে বর্বরতা চালানো হয়, তার মধ্য দিয়ে দেশটি ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে গাম্বিয়া।
ওই মামলায় অভিযোগকারী গাম্বিয়া এবং অভিযুক্ত মিয়ানমারকে তাদের আইনি যুক্তি দাখিলের জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আইসিজে।
এর মধ্যে ওই মামলায় লড়তে ব্রিটিশ-লেবানিজ আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ দিল মালদ্বীপ।
আমালকে উদ্ধৃত করে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ”মালদ্বীপকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাব পেয়ে আমি আনন্দিত। মিয়ানমারে গণহত্যার জবাবদিহি দীর্ঘ প্রতীক্ষার এবং প্রাণে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বিচারিক প্রতিকার লাভের লক্ষ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য আমি তাকিয়ে আছি।”
এর আগে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. নাশিদের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে ২০১৫ সালে তার ১৩ বছরের কারাদণ্ডের রায় অবৈধ বলে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত এনে দিয়েছিলেন আমাল ক্লুনি।
২০১৮ সালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নাশিদের সঙ্গে দেশান্তরী হওয়া আরও অনেকে সব ধরনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। এখন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকারের দায়িত্বে আছেন নাশিদ।