করোনাভাইরাস রোগী পাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের কারখানা বন্ধ

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনেই বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে; এক কর্মীর দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স তাদের মোবাইল ফোন তৈরির একটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 02:20 PM
Updated : 22 Feb 2020, 02:20 PM

দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ২২০ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩৩ জনে।

আরও একজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

হঠাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় শুক্রবারই দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগু ও চেওংডোকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করা হয়। আতঙ্কে দায়েগু শহরের সব রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়।

ওই শহরে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের একটি চার্চ থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ভাইরোসের ব্যাপক বিস্তার শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ওই চার্চে একটি বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন হাজারখানেক মানুষ। তাদের সবার মধ্যেই সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।   

দায়েগু শহরের কাছে গুমিতে স্যামসাংয়ের একটি মোবাইল সেট তৈরির কারাখানায় এক কর্মীর দেহে শনিবার করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এরপর ওই কারখানা সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স লিখেছে, স্মার্টফোনের বাজারে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানি স্যামসাংয়ের মোট উৎপাদনের ছোট একটি অংশ গুমির ওই কারখানায় তৈরি হয়। স্যামসাংয়ের বেশিরভাগ ফোন এখন তৈরি হয় ভিয়েতনাম ও ভারতের প্ল্যান্টে।

এই নতুন করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে ২৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৭৭ হাজার। মৃত্যু ও সংক্রমণের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে চীনের হুবেই প্রদেশে, যেখান থেকে গত ডিসেম্বরের শেষে এই প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।