করোনাভাইরাস: ইতালিতে দ্বিতীয় মৃত্যু

ইতালিতে নতুন করোনাভাইরাস জনিত রোগ কভিড-১৯ এ আক্রান্ত দ্বিতীয় আরেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 01:05 PM
Updated : 22 Feb 2020, 01:12 PM

মৃত নারী দেশটির লমবারদি অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন বলে বার্তা সংস্থা এএনএসএ-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে এএনএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শিল্প প্রধান এলাকায় ভাইরাসটির সংক্রমণ বিস্তার লাভ করে এ পর্যন্ত ৩০ জনকে আক্রান্ত করেছে।

শুক্রবার রাতে পার্শ্ববর্তী ভেনেতো অঞ্চলের পাদুয়া শহরের একটি হাসপাতালে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান। ছোট শহর ভোগে ইউগানিও-র এই বাসিন্দা দুই সপ্তাহ আগে পাদুয়ার হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। ইতালিতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা এটি।

ইতালির শিল্প ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র লমবারদিতে সবচেয়ে বেশি ২৭ জন নভেল করোনাভাইরাস নামের নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে।বিশ্বের ফ্যাশন ডিজাইনের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মিলান লমবারদির প্রধান শহর। আ্ক্রান্ত অপর তিন জন ভেনেতো অঞ্চলের বাসিন্দা।

কভিড-১৯ এ দ্বিতীয় রোগীর মৃত্যুর পর মিলানের দক্ষিণপশ্চিমের ৫০ হাজার বাসিন্দা অধ্যুষিত একটি এলাকায় গির্জার রোববারের প্রার্থনা, ফুটবল ম্যাচসহ যাবতীয় জনসমাবেশ এবং স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

এদিকে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লমবারদির প্রথম ব্যক্তি লোদি শহরের ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করে আসা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, কিন্তু পরীক্ষায় ওই বন্ধুর শরীরে কভিড-১৯ এর লক্ষণ ধরা পড়েনি।

চীন ভ্রমণ করে আসা এই ব্যক্তি ভাইরাসটি বহন করছেন কিনা এবং কোনো লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই তিনি ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন কিনা, চিকিৎসকরা তা পরীক্ষা করে দেখছেন বলে লমবারদির আঞ্চলিক কাউন্সিলর জিউলিও গ্যালেরা জানিয়েছেন।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়েছে ২৯ দেশে; আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে এ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৬০ জনে, যাদের মধ্যে ১৫ জন ছাড়া বাকি সবার মৃত্যু ঘটেছে চীনে।

ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, কিন্তু মৃত্যুর মিছিল থামছে না।