করোনাভাইরাস: এয়ারলাইন্সগুলোর ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৩০০০ কোটি ডলার

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো এ বছর দুই হাজার ৯৩০ কোটি ডলারের মতো হারাতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 04:23 AM
Updated : 22 Feb 2020, 04:59 AM

প্রাণঘাতী কভিড-১৯ এর কারণে এক দশকের মধ্যে চলতি ২০২০ সালে বিমান যাতায়াতে চাহিদাও কমবে বলে ধারণার কথা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)।

হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ২৬টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন, নিউমোনিয়াসদৃশ ভাইরাসে চীন ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এয়ারলাইন্সগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে বলেও অনুমান তাদের।

ফ্লাইট সংখ্যা কমাতে এয়ারলাইন্সগুলো বাধ্য হওয়ায়, তা তাদের আয়ে প্রভাব ফেলছে বলে আইএটিএ-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালে কেবল এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এয়ারলাইন্সগুলোর আয়ই কমবে দুই হাজার ৭৮০ কোটি ডলার; এশিয়ার বাইরের এয়ারলাইন্সগুলো হারাবে দেড়শ কোটি ডলার।

আইএটিএ-র অনুমান, চীনের এয়ারলাইন্সগুলো এ বছর তাদের দেশের ভেতরই এক হাজার ২৮০ কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

“এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের ধারণক্ষমতা ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে রুট কমানোর মতো জটিল সব সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এ বছর তাদের জন্য খুবই কঠিন সময় যাবে,” বলেছেন আইএটিএ’র মহাপরিচালক আলেক্সান্দ্রে দে জুনিয়াক।  

আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বলছে, চীনের ভেতরে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব এবং বাইরের দেশগুলোতে সামান্য সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনা করে তারা এয়ারলাইন্সগুলোর এ সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।

কিন্তু করোনাভাইরাস যদি অন্যান্য দেশেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।

কভিড-১৯ এর কারণে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, তাতে বছর শেষে এয়ারলাইন্সগুলো লোকসানে থাকবে কিনা, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

আইএটিএ বলছে, ২০০৩ সালে সার্সের প্রাদুর্ভাবের সময় বিমান যাতায়াতে মানুষের চাহিদা কমার হারের সঙ্গে মিলিয়ে কভিড-১৯ এ কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়ক অনুমান করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের দুটি এয়ারলাইন্সও তাদের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এশিয়া ভ্রমণে মানুষের চাহিদা কমায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

অস্ট্রেলিয়ার ক্যুয়েন্তাস বলেছে, প্রাণঘাতী কভিড-১৯ এর প্রভাবে তাদের ১০ কোটি ডলারের মতো ক্ষতি হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে এয়ার ফ্রান্স কেএলএম কেবল ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যেই তাদের ক্ষতি ২১ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।