দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলা করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
Published : 21 Feb 2020, 07:27 PM
দেশটিতে নতুন করে ১শ’ জন এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং দ্বিতীয় আরেকজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এ বাস্তবতাকে ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিয়ুন।
বিবিসি জানায়, ক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগু এবং চেওংডো কে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং দায়েগু শহরের সব রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে।
তিন সেনার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় সব সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে চেওংডো থেকে।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এ ভাইরাস সংক্রমিত দ্বীতিয় আরেকজনের মৃত্যু হয়। তারা দেশের প্রথম করোনাভাইরাস রোগী হিসাবে চেওংডোর একই মানসিক হাসপাতালে ছিল। আরো ১৫ রোগীরও ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার ৩৫ জন এ ভাইরাসে নতুন আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪ জনে। চীনের চৌহদ্দি এবং জাপানের প্রমোদতরীর বাইরে দক্ষিণ কোরিয়াতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের এখন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুক্রবার নতুন আক্রান্ত ১শ’ জনের ৮৬ জনই রাজধানী সিউলের ৩শ’ কিমি দক্ষিণপূর্বে দায়েগু শহরের বাসিন্দা। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইয়ুনহাপকে প্রধানমন্ত্রী চুং বলেছেন,“আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে বের করতে হবে এবং রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে।”
তিনি জানান,সরকার অসুস্থদের জন্য শয্যা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত করছে। ভাইরাসটি এখন স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।