পশ্চিমাদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনার মধ্যে হওয়া এবারের এ নির্বাচনে কট্টরপন্থি অংশ বিপুল জয় পেতে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ইরানে পার্লামেন্টের ক্ষমতা অনেক কম হলেও প্রতিবারের মতো এবারও প্রার্থী তালিকা থেকে শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খোমেনির অপছন্দের হাজারো প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পার্লামেন্টে কট্টরপন্থিরা জিতলে তা আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো উদারপন্থি হিসেবেই বিবেচনা করে আসছে। ইরানের সঙ্গে বহির্বিশ্বের সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুহানি পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শুক্রবার সকাল থেকে হাজারও নাগরিককে ভোটকেন্দ্রের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ইরানে সাধারণত মসজিদগুলোকেই ভোটকেন্দ্র বানানো হয়।
“আমি ভোট দিতে এসেছি। শহীদ কাশেম সোলেমানির পথ অনুসরণ করা আমার দায়িত্ব,” বলেছেন ভোটের লাইনে দাঁড়ানো এক তরুণ।
জানুয়ারিতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের তখনকার কমান্ডার সোলেমানি নিহত হওয়ার পর থেকে ইরানজুড়ে কট্টরপন্থিদের জনসমর্থন বাড়ছিল বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
বিদেশে বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর শাখা হিসেবে কাজ করা কুদস ফোর্সের এ প্রধানকে ইরানে খামেনির পরে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শুক্রবার সকাল থেকে টানা ১০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছে। প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ২৯০ আসনের পার্লামেন্টে প্রতিনিধি পাঠাতে তাদের রায় জানাতে পারবেন।