বৃহস্পতিবার হানাও ও বার্লিনের এসব কর্মসূচিতে মোমবাতি ও সাদা ফুল হাতে হাজার হাজার মানুষকে নীরবতা পালন করতে দেখা যায় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
উগ্র-ডানপন্থিদের হুমকি মোকাবেলায় দেশটির সরকারকে আরও পদক্ষের নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বুধবার রাতে হওয়া এ গুলির ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জার্মান তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের সবাই অভিবাসী পরিবারের; তাদের বয়স ২১ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে।
গুলিতে এক বসনিয়ান, এক বুলগেরিয়ান ও এক রোমানিয়ান নাগরিকও নিহত হয়েছে বলে দেশগুলোর সরকার নিশ্চিত করেছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন তুর্কি নাগরিক বলে জানিয়েছেন জার্মানিতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আলী কামাল আয়দিন৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে লিখেছে, “এ হামলা এটিই প্রমাণ করে যে, ইউরোপে বর্ণবাদ ও ইসলামবিদ্বেষ বাড়ছে।”
সন্দেহভাজন হামলাকারী ৪৩ বছর বয়সী তোবিয়াস আর অনলাইনে ‘বর্ণবাদী একটি ইশতেহার’ও পোস্ট করেছিলেন বলে জানিয়েছেন জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটর পিটার ফ্র্যাঙ্ক। ওই ইশতেহারে ‘গভীর বর্ণবাদী মানসিকতা’ ফুটে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সন্দেহভাজন এ হামলাকারীর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল বলে জানিয়েছে বিল্ড ট্যাবলয়েড পত্রিকা। তোবিয়াসের গাড়িতে গোলাবারুদ এবং বন্দুকের ম্যাগাজিনও পাওয়া গেছে।
নিহতদের কয়েকজন কুর্দিশ বংশোদ্ভূত বলে জানিয়েছে জার্মান গণমাধ্যমগুলো।
জার্মানির কুর্দিদের সংগঠন কোন-মেড অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদ ও তাদের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান না নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
মুসলিমদের সংগঠন কেআরএম জার্মানিতে উগ্র-ডানপন্থার মোকাবেলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
‘ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিতে’ সংগঠনটি গত কয়েকমাস ধরেই আঙ্গেলা মেরকেলের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
শিশা বারে হামলাকে ‘বর্ণবাদের বিষ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মেরকেল।
নিহতদের স্মরণে হওয়া এক আলোক প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে গিয়ে ‘জার্মানি এ ধরনের হামলা বরদাশত’ করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার।