দ্বীপদেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেন শিহ-চুং রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, ষাটের কোঠায় থাকা বৃদ্ধ ওই ব্যক্তির আগে থেকেই ডায়াবেটিস ও হেপাটাইটিস বিতে আক্রান্ত ছিলেন।
“৬১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ট্যাক্সি চালাতেন। তার খদ্দেরদের বেশিরভাগ হংকং, ম্যাকাও ও চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা। তার পরিবারের আরেক সদস্যও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।”
চেন বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমরা তার যোগাযোগগুলোর সবটা সংগ্রহ করতে পারিনি। এজন্য আমরা সক্রিয় অনুসন্ধান চালাচ্ছি।”
করোনাভাইরাসের মতো লক্ষণ থাকা ও সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসা রোগীদের সোমবার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করবে তাইওয়ান।
আতঙ্কে দ্বীপে মাস্ক কেনার হুল্লোড় পড়ে যাওয়ার পর সরকার জরুরি ভিত্তিতে মাস্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির প্রিমিয়ার মার্চের মধ্যে মাস্ক উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে এককোটি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কোভিড-১৯ নামে নভেল করোনাভাইরাসবাহী নতুন এই রোগে তাইওয়ানে এর আগে কেউ মারা যায়নি। তবে সব মিলে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন।
এর আগে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হংকং, ফিলিপিন্স, জাপান ও ফ্রান্সে একজন করে মৃত্যু হয়।
তবে চীনের ভেতরে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেড় সহস্রাধিক (১৬৬৫) মানুষ মারা গেছে, যাদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ৬৮ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ২৪টি দেশে অর্ধ সহস্রাধিক সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এর মধ্যে শুক্রবার আফ্রিকা মহাদেশে নতুন করোনভাইরাসের প্রথম সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিদেশি হিসেবে বর্ণনা করলেও তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি।