“চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এই অঞ্চলের ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, রাজনীতি এমনকী জীবনধারাও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে,” বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দেওয়া এক বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন।
বেইজিংয়ের হুমকি মোকাবেলায় ওয়াশিংটন সম্ভব সবকিছু করবে বলেও মিত্রদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শুল্ক নিয়ে দেড় বছর ধরে দুই দেশের দ্বৈরথ চললেও জানুয়ারিতে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বরফ খানিকটা গলতে শুরু করেছিল। এই মুহুর্তে ডেভিডসনের এ মন্তব্য চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাকে নতুন করে উসকে দিতে পারে বলে শঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।
রয়টার্স বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের নানান কর্মকাণ্ড ওয়াশিংটন ও তার মিত্র দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের ব্যাপক অংশে চীনের মালিকানার দাবি নিয়ে মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, ভিয়েতনামসহ প্রতিবেশীদের আপত্তিও আছে।
তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিংয়ের সামরিক পরিকল্পনাও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে।
ডেভিডসন বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছোট ছোট দেশগুলোকে ঋণের জালে ফেলে চীন নিজেদের সামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য হাসিলে কাজ করে যাচ্ছে।
বেইজিং আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন, আন্তর্জাতিক সম্পদের চুরি, সামরিক হস্তক্ষেপ ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির মতো কার্যকলাপে জড়িত বলেও দাবি এ সামরিক কর্মকর্তার।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ নতুন নয়। বেইজিং অতীতেও তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রভাবশালী এক কমান্ডারের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অস্ট্রেলিয়ার চীন দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ডেভিডসন মিত্র দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে তারা।