করোনাভাইরাস: ৫ বন্দর ঘুরে অবশেষে ঠাঁই পেল প্রমোদতরী

যাত্রীদের সঙ্গে করোনাভাইরাসও চলে আসতে পারে, এমন আশঙ্কায় কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ নোঙর করার অনুমতি না দেওয়ায় সাগরে ঘুরতে থাকা একটি প্রমোদতরী অবশেষে কম্বোডিয়ায় নোঙরের অনুমতি পেয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2020, 08:03 AM
Updated : 13 Feb 2020, 01:03 PM

করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় এশিয়ার পাঁচটি বন্দর এমএস ওয়েস্টারডাম প্রমোদতরীকে নোঙরের অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। 

জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন থাকা আরেকটি প্রমোদতরী, ডায়মন্ড প্রিন্সেস এ ২০০ জনেরও বেশি লোক সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে; কিন্তু দুই হাজারেরও বেশি আরোহী থাকা ওয়েস্টারডামে একজনও করোনাভাইরাস সংক্রমিত নেই।

মঙ্গলবার প্রমোদতরীটি ব্যাংকক বন্দরে নোঙর করার উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু অনুমতি পায়নি। বরং থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ প্রমোদতরীটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে থাইল্যান্ডের জলসীমার বাইরে বের করে দেয়। এখান থেকেই জাহাজটি থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজটি কম্বোডিয়ার বন্দর-শহর সিহানুকভিলে নোঙর করার মতো একটি স্থানে পৌঁছায়। 

“আজ সকালে স্থলভাগ দেখাটা ছিল এক রুদ্ধশ্বাস মূহুর্ত। এটা কি সত্যি? ভাবছিলাম আমি,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা যাত্রী অ্যাঞ্জেলা জোন্স।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হল্যান্ড আমেরিকা লাইনের পরিচালিত ওয়েস্টারডাম ১ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ৪৫৫ জন যাত্রী ও ৮০২ জন ক্রু নিয়ে হংকং ছেড়েছিল। এটি দুই সপ্তাহ সাগরে থাকবে এমনই পরিকল্পনা ছিল। ১৪ দিন পার হওয়ার পর জাহাজাটিতে খাবার ও জ্বালানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। 

কারণ থাইল্যান্ডের আগে তাইওয়ান, গুয়াম ও জাপানের বন্দরগুলোও জাহাজটিকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

প্রমোদতরীটির ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট স্মিথ জানান, কর্তৃপক্ষকে আরোহীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুযোগ দিতে জাহাজটি সিহানুকভিলের বাইরে নোঙর করবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যাত্রীরা জাহাজ ছাড়তে পারবে এবং কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন থেকে যার যার দেশে ফিরে যাবে।  

ওয়েস্টারডাম প্রমোদতরীকে নোঙর করার অনুমতি দেয়ায় কম্বোডিয়ার প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডোস গেবরিয়াসুস।