সর্বগ্রাসী এ আগুনে প্রজাতিগুলোর কোনোটি বিলুপ্ত হয়নি বলেও জানিয়েছে তারা।
দেশটিতে এবারের গ্রীষ্মে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হওয়া ভয়াবহ দাবানলে এসব প্রজাতির প্রায় সবগুলোরই অন্তত ৩০ শতাংশ আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে।
কোয়ালা এবং ওয়ালাবি ছাড়াও জরুরি সাহায্য দরকার প্রাণীর তালিকায় পাখি, মাছ ও ব্যাঙের বেশ কয়েকটি প্রজাতি আছে, বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
গবেষকরা এর আগে দাবানলে অস্ট্রেলিয়ার নাতিশীতোষ্ণ বনাঞ্চল ও তৃণভূমির ব্যাপক অংশ ভস্মীভূত হওয়ায় ১০০ কোটিরও বেশি প্রাণীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তালিকায় প্রাণীগুলোর সেসব প্রজাতিকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারে এখনি ‘জরুরি সাহায্য’ দরকার, বলেছে দাবানলে বণ্যপ্রাণী ও বিপন্ন প্রজাতিগুলোর বিপর্যয় মোকাবেলায় গঠিত সরকারের ওই বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
তারা জানিয়েছে, আবাসস্থলের বেশিরভাগ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ব্যাঙ ও গিরগিটির একটি করে প্রজাতি এবং ক্যাঙ্গারু দ্বীপের ডানার্টের মতো বেশকিছু প্রাণী ‘বিলুপ্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে’।
কোয়ালা এবং স্মোকি মাউসের মতো বেশকিছু প্রাণীর ধ্বংস হওয়া আবাসস্থলের পরিমাণও ‘উল্লেখযোগ্য’ এবং প্রাণীগুলোর জন্য এখনি জরুরি সহায়তা দরকার বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
“আগুনের আগে অনেক প্রজাতিই নিরাপদে ছিল, হুমকির মুখে ছিল না। কিন্তু এখন আবাসস্থলের বেশিরভাগ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় প্রাণীগুলো বিপন্নের তালিকায় ঢুকে যেতে পারে,” বলা হয়েছে প্যানেলের প্রতিবেদনে।
কিছু কিছু এলাকায় এখনও দাবানল থাকায় তালিকাটি সম্পূর্ণ করা যায়নি মন্তব্য করে পরের তালিকায় সাহায্য দরকার এমন উদ্ভিদ এবং আরও আরও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর প্রজাতির নামও যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান লে।
“আগুনের আঘাত হানা এলাকায় হুমকির মুখে থাকা প্রাণীর উপস্থিতি আমাদের আশাবাদী করলেও, অনেক এলাকা এখনো বিস্তৃত পরিদর্শনের উপযোগী হয়ে উঠেনি,” বলেছেন এ নারী।
দাবানলের পর বণ্যপ্রাণী ও তাদের আবাস পুনরুদ্ধারে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার সরকার সর্বমোট তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
আহত প্রাণীর চিকিৎসা, বিভিন্ন এলাকায় প্রাণীদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ও কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে এ অর্থ ব্যয় হবে বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।