শুক্রবার দেশটির মাসানচি গ্রামে সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ৩০টি বাড়ি ও ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়, জানিয়েছে বিবিসি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজাখ নৃগোষ্ঠীর লোকজন ১৯ শতকে চীন থেকে আসা অভিবাসী সংখ্যালঘু দানগান গোষ্ঠী ও হুয়ি মুসলিমদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
দাঙ্গা কবলিত এলাকাটি এখন পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের ‘নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’ বলে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসেম জোরমাত তোকায়েভ জানিয়েছেন।
কোরদাই জেলার বেশ কয়েকটি বসতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে লড়াই হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে তোকায়েভ জানিয়েছেন। পুলিশ ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
‘উস্কানিমূলক গুজব ও বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফুটেজে দুই পাশে জলন্ত বাড়িঘরের মধ্যদিয়ে গ্রামের পথে একদল তরুণকে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে, তাদের অনেকের হাতেই মুগুর ছিল।
কাজাখস্তানের কিরগিজিস্তান সীমান্ত থেকে কাজাখ শহর আলমাতিতে যাত্রী আনা-নেওয়া করেন এমন এক চালক জানান মাসানচি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
“পরিস্থিতি শান্ত, কিন্তু এখন কেউ সেখানে ঢুকতে পারবে না। পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে অবস্থান নিয়েছে,” বলেন তিনি।
কাজাখস্তানের তথ্যমন্ত্রী দৌরেন আবাইয়েভ জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিনের খিটিমিটি’ থেকে বড় ধরনের সংঘর্ষ শুরু হয়। আলমাতির বাজারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যে এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে অনেক সংখ্যালঘু দানগান গোষ্ঠীর সদস্য ও হুয়ি মুসলিমদের ঘরবাড়ি রয়েছে।