চীনের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করছে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স

 করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো চীনের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করা এবং কমিয়ে আনাসহ সমস্ত ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধও করে দিচ্ছে।

>>রয়টার্স
Published : 29 Jan 2020, 03:17 PM
Updated : 29 Jan 2020, 03:17 PM

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এরই মধ্যে চীন থেকে আসা এবং যাওয়ার সরাসরি সব ফ্লাইট বন্ধ করেছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইটে জানুয়ারি থেকে ফেব্রয়ারি পর্যন্ত সরাসরি কোনো ফ্লাইটের বুকিং দেখা যায়নি।

তবে এয়ারলাইন্সটি এক ইমেইলে জানিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখা হবে। এ সময় তারা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেখবে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আগে চীনের সঙ্গে বেশকিছু ফ্লাইট বাতিল করেছে আমেরিকান ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। এরপরই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ চীনে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে।

একই পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ার সিউল এয়ারলাইন্সও। তারাও চীনের সঙ্গে সব ফ্লাইট বন্ধ করেছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের চীনা এয়ারলাইন্স চীনে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কিছু ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং কিছু ফ্লাইটের সময়সূচি বদল করেছে। তাইওয়ানের ইভা এয়ারওয়েজও চীনের কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এয়ারলাইন্স ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার শনিবার থেকে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

হংকংয়ের ক্যাথাই প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সও চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। এ মুহূর্তে ফ্লাইট ৫০ শতাংশ কমানো হচ্ছে এবং পরে ৩০ জানুয়ারি থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত আরো ফ্লাইট বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এয়ার কানাডা বলেছে, তারা চীনের সঙ্গে তাদের সাপ্তাহিক ৩৩ টি ফ্লাইট বাতিল করছে এবং জার্মানির লুফথানসাও ফ্লাইট বাতিল করছে।

ফিনল্যন্ডের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ফিন এয়ার চীনের সঙ্গে বেশকিছু ফ্লাইট ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।এয়ার ফ্রান্স উহানের সঙ্গে তিনটি সাপ্তাহিক ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে।

রাশিয়ার উরালস এয়ারলাইন্সও এরই মধ্যে চীনের বেশ কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট বন্ধ করেছে। চীনাদের কাছে জনপ্রিয় কয়েকটি গন্তব্যেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় উড়োজাহাজ চলাচল সীমিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।