উহান ছাড়ছেন বিদেশিরা, অস্ট্রেলিয়ানদের রাখা হবে দ্বীপে

চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহান ছাড়তে শুরু করেছেন বিদেশি নাগরিকরা। ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরাও। তাদের একটি দ্বীপে আলাদা করে রাখার পরিকল্পনা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2020, 02:12 PM
Updated : 29 Jan 2020, 03:48 PM

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, চীনের উহান ও হুবেই প্রদেশের আশপাশের এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আনা হচ্ছে প্রায় ৬০০ নাগরিককে। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তাদের দুই সপ্তাহ ক্রিসমাস দ্বীপে আলাদা করে রাখা হবে।

এ দ্বীপটি অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে দুই হাজার কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরে। কিন্তু দ্বীপটিতে রয়েছে অভিবাসী আটক কেন্দ্র এবং এ কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়েছে।

চীন ফেরত নাগরিকদেরকে ক্রিসমাস দ্বীপে রাখার অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে তাই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এ দ্বীপের অভিবাসী আটক কেন্দ্রে আছে কেবল শ্রীলঙ্কার চার সদস্যের একটি পরিবার। এক হাজারের বেশি মানুষ রাখার জন্য এ আটক কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। উহান ফেরত নাগরিকদেরকে এ আটককেন্দ্রেই ১৪ দিন রাখা হবে।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উহানে আটকা পড়ে থাকা অস্ট্রেলীয়রা দেশে ফেরত যেতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

কিন্তু নাগরিকদের ক্রিসমাস দ্বীপে রাখার অস্ট্রেলিয়া সরকারের পরিকল্পনা অনেককেই ভাবনায় ফেলেছে। কারণ অস্ট্রেলিয়া থেকে দূরে ইন্দোনেশিয়ার কাছের ওই দ্বীপটি আটককেন্দ্র হিসাবেই কুখ্যাত। ২০০৩ সাল থেকেই সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের আটক করে রেখে আসছে অস্ট্রেলিয়া। যার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘও।

অস্ট্রেলিয়া ছাড়া জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদেরও নিজ নিজ দেশে ফেরানো হচ্ছে। ২০০ জাপানি নাগরিক এরইমধ্যে উহান থেকে টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।

প্রায় ২০০ আমেরিকানও উহান থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পৌঁছানোর পথে রয়েছে। যুক্তরাজ্যও উহান থেকে ফেরত আসতে চাওয়া প্রায় ২০০ ব্রিটিশকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এরইমধ্যে চীনের সঙ্গে সব ফ্লাইট বন্ধ করেছে এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রয়োজন ছাড়া উহানে ব্রিটিশদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

উহান ছেড়ে যাচ্ছেন ২৫০ জন ফ্রান্সের নাগরিকও। ইতালিও তাদের ৫০ জনের বেশি নাগরিককে বৃহস্পতিবারই ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তাদের প্রায় ৭০০ নাগরিক চারটি ফ্লাইটে করে এ সপ্তাহেই ফিরবে। মালয়েশিয়া ও ফিলিপিন্সও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে।