এর আগে গত শুক্রবার ৩৪ মার্কিন সেনার মস্তিষ্কে একই সমস্যা ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল দেশটির সামরিক বাহিনী, মঙ্গলবার জানানো সংখ্যায় আরও ১৬ জন বাড়লো।
৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর ইরাকের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান।
ইরানের ৮ জুলাইয়ের ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়নি বলে তখন দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। কিন্তু পরে পেন্টাগনের জানানো মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যা ধরা পড়ার তথ্য তাদের দাবিকে খারিজ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আইন আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানি হামলায় আহতদের বিষয়ে এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল টমাস ক্যাম্পবল জানান, ‘আজ পর্যন্ত ৫০ জন মার্কিন সামরিক সদস্যের’ মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যা ধরা পড়েছে।
মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যা যাকে ‘কনকুসিভ ইনজুরি বলা হয়, তাতে মাথা ধরা, মাথা ঘোরা, আলোক সংবেদনশীলতার মতো বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আহত ৫০ সেনার মধ্যে ৩১ জনকে ইরাকে চিকিৎসা দেওয়ার পর কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে ক্যাম্পবল জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জনের সমস্যা সম্প্রতি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোট আহতের মধ্যে ১৮ জনকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছে, একজনকে কুয়েতে পাঠানোর পর সে আবার কাজে যোগ দিয়েছে বলে ক্যাম্পবল জানিয়েছেন।
“এটি এই সময়ের একটি স্ন্যাপশট আর এই সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে,” বলেন তিনি।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোস সম্মেলনে এ ঘটনার বিষয়ে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সৈন্যদের মাথাব্যথাসহ হালকা কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন।
“আমার কাছে ওগুলোকে বড় কোনো সমস্যা মনে হয়নি,” বলেছিলেন তিনি।