স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ৬ বছর পর কিম জং-উনের পাশে ফুপু

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম-জং উন এর পাশে দীর্ঘ সাত বছর পর দেখা গেছে তার ফুপু কিম কায়ং-হুইকে। দেশদ্রোহের অভিযোগে তার স্বামী চ্যাং সং থেক এর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই প্রথম তাকে জনসম্মুখে দেখা গেল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2020, 03:07 PM
Updated : 28 Jan 2020, 05:09 PM

এতদিন কিম কায়ং-হুইকে নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। কেউ বলছিলেন স্বামীর মতো তাকেও মেরে ফেলা হয়েছে। আবার অনেকের ধারণা ছিল, তিনি নির্বাসনে চলে গেছেন।

এবার সব জল্পনায় পানি ঢেলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং এর মেয়ে ও সাবেক নেতা কিম জং-ইল এর বোন কিম-কায়ং হুই। অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়ার প্রতাপশালী শাসক কিম জং-উনের ফুপু এই নারী।

বিবিসি জানায়, রোববার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ কিং-হুইয়ের নববর্ষ উদযাপনের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের একটি থিয়েটারে নেতা কিম জং-উন ও তার স্ত্রীর পাশেই বসে থাকতে দেখা গেছে ৭৩ বছরের কিম কায়ং-হুইকে। ৬ বছর আগে হুইয়ের স্বামী অর্থাৎ, ফুপা সং-থেক'কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন এই কিম জং-উনই।

নেতা কিম জং উনের পাশে তার ফুপু হুইয়ের এ উপস্থিতিই বলে দিচ্ছে এই নারী ফের রাষ্ট্রক্ষমতায় যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। খুব সম্ভবত উপদেষ্টা হিসাবে আছেন তিনি।

একদশক আগে ভাতিজা কিম জং উন ক্ষমতায় আরোহণের সময় এই হুই এবং তার স্বামী সং থেকই ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। কিন্তু কিমের শাসনক্ষমতার দু’বছরের মধ্যেই থেককে রাষ্ট্রের পতন ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।