সোমবার দেশটিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং নতুন করোনাভাইরাসের উৎসস্থল বলে বিবেচিত মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী উহান পরিদর্শন করেছেন।
দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৭৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেক হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।
ফ্লু-জাতীয় এই ভাইরাসটির সংক্রমণে হুবেইতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মৃত বাকি পাঁচ জন চীনের অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।
তাদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানের এক বাসিন্দা রযেছেন। নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা সোমবার নিশ্চিত করেছে প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের ১০টিরও বেশি দেশে কিছু সংখ্যাক লোকের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেলেও চীনের বাইরে কারও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর হয়নি। ওই সব দেশের আক্রান্তরা সবাই উহান ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছিলেন।
চীন সরকার চান্দ্র নববর্ষের সপ্তাহব্যাপী ছুটি আরও তিন দিন বাড়িয়ে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছে। নববর্ষের এই ছুটিতে চীনজুড়ে উৎসব ও ভ্রমণের ধুম পড়ে যায়। কোটি কোটি লোক ভ্রমণে বের হলেও এবার ভাইরাসের আতঙ্কে তাদের অনেকেই পরিকল্পনা বাতিল করে ঘরে বসে আছেন। সরকারও বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান বাতিল, সীমিত করে এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
সোমবার থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত উহানের ভিসা ও পাসপোর্ট সেবা বন্ধ থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে এসব বিধিনিষেধ সত্ত্বেও শহরটির এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৫০ লাখ ছুটি ও অন্যান্য কারণে শহর ত্যাগ করেছে বলে উহানের মেয়র জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উহান থেকে ছবিগুলোতে হাসপাতালের করিডোরগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনে ভিড় দেখা গেছে। শহরটিতে শাকসব্জির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।