শনিবার লাম এ ঘোষণা দেন। এখন থেকে হংকং ও চীনের উহানের মধ্যকার সব ফ্লাইট এবং দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি হয়ে যাওয়া হংকংয়ের সব স্কুলও বন্ধ থাকবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শিক্ষা কর্তৃপক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছুটি বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। হংকংয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ৫ জনের ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করেছে। তাদের সবাই উহান থেকে আসা। আরো ১২২ জনকে ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তবে হংকংয়ের নেত্রী লাম চীনে সব সরকারি সফর বাতিল করলেও চীনা মূল ভূখন্ড থেকে লোকজনের আসা বন্ধ করেননি। চীনের সঙ্গে সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করাটা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হংকংয়ে ৭ মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম ক্যারি লামকে এবার জনস্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে লাম জনগণের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষায় হংকংয়ের সব নাগরিককে নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যব্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছরের শেষ দিকে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি সিফুড মার্কেট থেকে, যেখানে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী বিক্রি করা হয়, ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। উহান থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব চীনের রাজধানী বেইজিং, বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
হংকংয়ে গত বুধবার প্রথম উহান থেকে দ্রুত গতির ট্রেনে শেনঝেন হয়ে আসা একজনের দেহে ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর এ সংখ্যা বেড়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়াদের মধ্যে একজনের অবস্থা শনিবার খারাপও হয়ে পড়ে।