ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬

চীনে নিউমোনিয়া সদৃশ নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ এ পৌঁছেছে। হুবেই প্রদেশজুড়ে ভ্রমণে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।উহানসহ মোট ১০ টি শহরে বন্ধ করা হয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2020, 04:32 AM
Updated : 24 Jan 2020, 01:43 PM

প্রাণঘাতী নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে আটশ’ ছাড়িয়ে গেছে।

মৃত এবং আক্রান্তদের বেশিরভাগই উহান শহরের; হুবেই প্রদেশের এ রাজধানী থেকেই গত বছর নতুন এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল।

বৃহস্পতিবার হুবেই প্রদেশের বাইরে উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম এক রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। পরে আরেকজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশে।

চীনের বাইরে আরও ৭টি দেশে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেখানে কারও মৃত্যুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে ১৭৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে। ভারইস সংক্রমণের সন্দেহে আরও এক হাজার ৭২ জনের পরীক্ষ-নিরীক্ষা চলছে।

চীনা নববর্ষের ছুটির মধ্যে দেশটির কোটি কোটি মানুষ একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করলে সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে। শনিবার থেকে চীনে লুনার নিউ ইয়ারের সপ্তাহব্যাপী ছুটি শুরু হচ্ছে।

পরিস্থিতি সামলাতে উহান ও হুয়াংগাং শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বেইজিংয়ে সব বড় উৎসব ও মন্দিরের মধ্যে মেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, চলচ্চিত্র মুক্তি স্থগিত এবং পর্যটনপ্রিয় নিষিদ্ধ নগরী বন্ধ রয়েছে।

হুবেই প্রদেশের ২ কোটি মানুষকে অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।

উহানের সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতায়াত বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সড়কেও।

উহানের সর্বত্র ফেইসমাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শহরটি একটি ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে বলে বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ে জেনেভায় বৈঠকও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

চীনে মারাত্মক আকার ধারণ করলেও অন্যান্য দেশে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৩ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়ায় পরিস্থিতিকে এখনই ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

“ভুল করবেন না চীনে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করলেও এটি এখনি বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেনি, তবে হয়ে উঠতে পারে,” বলেছেন ডব্লিউএইচও-র প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।

চীনের বাইরে থাইল্যান্ডেই সবচেয়ে বেশি চার জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও।