বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০০ কর্মকর্তার এ অভিযানে এরই মধ্যে অনেকগুলো ফোন, ল্যাপটপ ও নানা ধরনের সরঞ্জাম, নাৎসিদের জামা এবং স্মৃতিচিহ্ন জব্দ করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
জার্মানিতে গত বছর অভিবাসীপন্থি হিসেবে পরিচিত স্থানীয় নেতা ওয়াল্টার লুবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ব্যক্তি উগ্র-ডানপন্থার সমর্থক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর পূর্ব জার্মানির হালে শহরে এক সিনাগগের কাছেও দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিবাসীদের হত্যায় দুই বছর আগে নব্য-নাৎসিবাদী গোষ্ঠী এনএসইউর নেতাদের দোষী সাব্যস্তও করা হয়েছিল।
“আজকের নিষেধাজ্ঞা একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। আর তা হলো- উগ্র দক্ষিণপন্থা ও ইহুদিবাদ বিরোধীতার কোনো স্থান আমাদের সমাজে নেই। এনএসইউর সন্ত্রাসী হামলা, ওয়াল্টার লুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং গত বছর হালের সন্ত্রাস আমাদের সমাজের জন্য উগ্র ডানপন্থার সত্যিকারের বিপদের চিত্র হাজির করেছে,” বিবৃতিতে বলেছেন জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার।
গত শতকের ৯০ দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে এ ‘কমব্যাট ১৮’ গোষ্ঠীটির যাত্রা শুরু হয়। জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরা বছরখানেক ধরেই নাৎসিবাদী এ গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
গোষ্ঠীটির কর্মকাণ্ড জার্মানির সাংবিধানিক আদেশ লংঘন করে আসছিল বলে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এ নিয়ে জার্মানিতে ১৮টি উগ্র ডানপন্থি দলকে নিষিদ্ধ করা হল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অসউইৎজে নাৎসি ডেথ ক্যাম্প মুক্ত করার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের মধ্যেই জার্মানি নতুন আরেকটি নাৎসিবাদী গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করল।
অসউইৎজের নাৎসি ক্যাম্প মুক্ত করার দিবস উদ্যাপনে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে জড়ো হওয়া বিশ্বনেতার মধ্যে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ারও আছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।