উহান শহরে বাস করা ৮৯ লাখ মানুষকেও ভিড়ভাট্টা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
ভাইরাসটি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে চীনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে ছড়িয়ে গেছে। এটি ছড়িয়েছে চীনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও।চীনে আক্রান্ত ৪৪০ জনের মধ্যে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের উপমন্ত্রী প্রথম এক সরকারি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “উহানে যাবেন না। আর যারা উহানে আছেন তাদেরকে নগরীটির বাইরে কোথাও না যাওয়ার অনুরোধ করছি।”
ভাইরাস সংক্রমণে রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো এবং রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে চীন এখন ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে’ রয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চীন এ সপ্তাহের প্রথমদিকে ভাইরাসটির মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভাইরাসটি ২০১৯-এনসিওভি নামেও পরিচিত। নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাসটি মানুষের দেহে এর আগে দেখা যায়নি। ২০০০ সালের শুরুর দিকে সার্স ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৮শ’ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ভাইরাসওটিও ছিল একটি করোনাভাইরাস।
এবারের ভাইরাসটির প্রথম দেখা মেলে গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে।এ ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে যা থেকে নিউমোনিয়ার মত গুরুতর রোগে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এ ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু চীনে চান্দ্র নববর্ষের ছুটি উপলক্ষে দেশটির কোটি কোটি নাগরিক দেশের ভিতরে ও বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তুতি নেওয়ায় ভাইরাসটি নিয়ে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। শুক্রবার থেকে চীনে নববর্ষের ছুটি শুরু হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জনগণের উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আক্রন্তের সংখ্যার প্রতিদিনের হালনাগাদ দিচ্ছে চীনের সরকার।