ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারে এটি কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ার পাশাপাশি চীনা নতুন বছর উদযাপনের এ সময়ে লোকসমাগমের কারণে রোগ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
উহানের স্বাস্থ্য কমিশন সোমবার বলেছে, শনি এবং রোববার শহরটিতে নতুন করে ১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ এবং ৭০ জন নারী। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৮৯ এর মধ্যে। বেশির ভাগেরই ভাইরাস সংক্রমণে রোগের লক্ষণ হিসাবে জ্বর,কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ধরা পড়েছে।
এছাড়া, রাজধানী বেইজিংয়ে প্রথম দুইজন এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শেনঝেনে আক্রান্ত হয়েছে একজন। সব মিলে চীনে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২শ’ জনে। যা একদিন আগে প্রকাশিত সংখ্যার চে দ্বিগুণেরও বেশি।
ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এ পর্যন্ত মারা গেছে তিনজন। আর চীনের বাইরে জাপান, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ভাইরাসটির প্রথম দেখা মেলে। নতুন এ ভাইরাসটি করোনাভাইরাস পরিবারের সদস্য।
চীনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসটি মানবদেহ থেকেই ছড়িয়েছে এমন কোনো লক্ষণ এখনও পাওয়া যায়নি। এটি কোনো প্রাণীদেহ থেকে এসেছে বলে মনে করছেন তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, উহানের বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক খাবারের বাজারে কোনো দূষিত প্রাণী থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জানুয়ারির শুরুতেই উহানের ওই বাজারটি বন্ধও করে দেওয়া হয়।