এ বছর গ্রীষ্মেই টনি সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন এবং তার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন ছিল সে অনুভূতিও খোলাসা করে তিনি লিখেছেন, “আমি মনের কথা শুনলে কখনো পদত্যাগ করতে চাইতাম না।”
চিঠিতে টনি আরো লেখেন, তার বিশ্বাস, যে সময় মহাপরিচালক হয়েছিলেন তখনকার তুলনায় এখন তিনি বিবিসি’কে অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রেখে বিদায় নেবেন।
২০১২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন বিবিসি মহাপরিচালক জর্জ এনটুইসেলের পদত্যাগের পর এ পদে আসীন হয়েছিলেন বার্তা বিভাগের সাবেক পরিচালক এবং রয়েল অপেরা হাউজের প্রধান নির্বাহী লর্ড টনি হল।
বিবিসি’র একটি জনপ্রিয় আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে ভুল করে শিশু যৌন নিপীড়নকারীর তকমা দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫৮ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছিলেন এনটুইসেল।
এবার তার উত্তরসূরি টনিও বিদায় নিচ্ছেন বিবিসি’র আরেক টালমাটাল সময়ে, যখন নারী-পুরুষের মজুরিতে বৈষম্য, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা এবং পেনশনারদের ফ্রি টিভি লাইসেন্স বন্ধের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মতো কিছু্ বিষয় নিয়ে অসন্তোষ চলছে।
টনি হলের পর কে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে মহাপরিচালক পদে নতুন লোক খোঁজা শুরু হবে এবং সবচেয়ে যোগ্য কাউকেই এ পদের জন্য বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিবিসি’র চেয়ারম্যান ডেভিড ক্লেমেন্তি।
তিনি বলেন, টনি বিবিসি মহাপরিচালক হিসাবে যুক্তরাজ্যসহ এর বাইরেও সৃজনশীল, উদ্যমী নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সাত বছর তাকে পেয়ে জন্য বিবিসি ধন্য।