বড় বিনিয়োগ নিয়ে মিয়ানমার যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে অভিযোগে যখন মিয়ানমার থেকে পশ্চিমাবিশ্ব মুখ ফিরিয়ে ‍নিচ্ছে,ঠিক তখনই বড় বিনিয়োগ নিয়ে কোটি কোটি ডলারের অবকাঠামো চুক্তি করতে দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

>>রয়টার্স
Published : 16 Jan 2020, 03:29 PM
Updated : 16 Jan 2020, 05:35 PM

১৭ জানুয়ারি শুক্রবার দু’দিনের সফরে মিয়ানমার যাচ্ছেন জিনপিং।১৯ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশটিতে যাচ্ছেন।

সফরের প্রথম দিন রাজধানী নেপিধোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি,সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শি জিনপিং। 

এরপর চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডরের আওতায় উভয় দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করতে পারে।

এ সফরে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলারের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পূর্বদিকে দ্রুতগামী ট্রেন এবং বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র ইয়াঙ্গনে আরো কিছু শিল্প গড়ে তোলা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

রাখাইনে কিয়াউকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে চীন নাগালে পেতে চায় বঙ্গোপসাগর এবং এর মাধ্যমে সরাসরি ভারত মহাসাগরকে। তাছাড়া, দ্রুতগামী ট্রেনের মাধ্যমেও চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ওই বন্দরকে জোড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বেইজিংয়ের।

এ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের পথ সুগম করা এবং মিয়ানমারে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারি দেশ হিসেবে চীনের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করাই শি-র সফরের লক্ষ্য।

কিয়াউকফিউ বন্দর প্রকল্পের জন্য চীন ৭২০ কোটি ডলার বিনিয়োগে ইচ্ছুক ছিল। কিন্তু চীনা লগ্নিতে ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশ বিকিয়ে যাওয়ার ভয়ে সে বিনিয়োগ ১৩০ কোটি ডলারে নামিয়ে এনেছে মিয়ানমার।

বন্দর নির্মাণ ছাড়াও বিস্তীর্ণ শস্যভূমি ও বন এলাকায় চীনের বিনিয়োগে গার্মেন্টস ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ইতোপূর্বে কখনো কখনো সমস্যাশঙ্কুল থাকলেও রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীন মিয়ানমারের পাশে দাঁড়ানোর পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক অনেকটাই উষ্ণ হয়েছে।