এতে অন্তত ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে যাদের অধিকাংশই স্কুলগুলোর শিশু শিক্ষার্থী, তাদের ত্বক জ্বালাপোড়া ও শ্বাসকষ্টজনিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিমান চলাচলের আইনানুযায়ী, জরুরি অবতরণের আগে জ্বালানি ফেলে দেওয়া যায়, কিন্তু অতি উঁচু থেকে শুধু নির্দিষ্ট এলাকাতেই তা করা যায়।
ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ওই উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে ফিরে যাচ্ছিল।
উড়োজাহাজটি থেকে জ্বালানি ফেলার পর যে সকল শিশু ও বয়স্ককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তারা সবাই স্থানীয় অন্তত ছয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক। তবে তাদের সবার আঘাত সামান্য বলে জানানো হয়েছে।
জ্বালানি যখন ফেলা হয় তখন বিমানবন্দরটি থেকে ২৬ কিলোমিটার পূবে অবস্থিত কাডাহির পার্ক এলিমেন্টারি স্কুলের দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাইরে ছিল।
কাডাহির মেয়র এলিজাবেথ আলকানতার বলেছেন, “আমি খুবই মর্মাহত। এটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এখানকার শিক্ষার্থীরা সব ছোট শিশু।”
অবতরণের সময় ওজন কমানোর জন্য উড়োজাহাজটি জ্বালানি ফেলে দিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ডেল্টা এয়ারলাইন্স।
মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) মুখপাত্র অ্যালেন কেনিটজার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “এফএএ এই ঘটনার পেছনের পরিস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিমানবন্দরে আসা ও যাওয়ার পথে আকাশযান থেকে জ্বালানি ফেলার বিশেষ কার্যপ্রণালী আছে।
“ওই কার্যপ্রণালীতে মনোনীত বসতিহীন এলাকায় ওপরে অনেক উঁচু থেকে জ্বালানি ফেলার কথা বলা আছে। উঁচু থেকে পড়ার সময় জ্বালানি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে মাটিতে পড়ার আগেই বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার কথা।”