হংকংয়ে ‘মানবাধিকারের ওপর চীনের বাড়তে থাকা দমনপীড়ন’ নিয়ে এইচআরডব্লিউ’র বৈশ্বিক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল কেনেথের।
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধারণ করা একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার হয়েছে। এতে দেখা গেছে,মার্কিন নাগরিক রথ কেনেথ বলছেন,তিনি অতীতে হংকং ভ্রমণ করলেও এবার তাকে প্রথমবারের মত বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছে এবং ‘অভিবাসন সংক্রান্ত’ কিছু কারণে হংকংয়ে তার প্রবেশ নিষেধ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে হংকংয়ের অভিবাসন দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন,তারা ব্যক্তিবিশেষের কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন না।
হংকংয়ে যেতে না পারায় কেনেথ এখন ১৪ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ দপ্তরে তার প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডব্লিউ।বেইজিংয়ের চাপে হংকংয়ের স্বাধীনতা যে উবে যাচ্ছে কেনেথকে আটকে দেওয়ার ঘটনাটি সে সত্যকেই সামনে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
সংস্থার বিবৃতিতে রথ কেনেথ বলেছেন,তাকে বাধা দেওয়ার এ হতাশাজনক ঘটনা হংকংয়ের ওপর চীনের নিপীড়ন আরো কঠোর হওয়ারই লক্ষণ। এক দেশ দুই ব্যবস্থাধীনে হংকংয়ের জনগণ যে সীমিত স্বাধীনতা ভোগ করছে তা আরো কড়াকড়ির মুখে পড়ারই লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে।
হংকংয়ে কয়েকমাস ধরেই চলছে লাগাতার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। চীন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য আমেরিকান এনজিও’গুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। এ সংস্থাগুলো চীন-বিরোধী শক্তিকে সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ বেইজিংয়ের।
এইচআরডব্লিউ প্রধান কেনেথ এ বছরের প্রতিবেদনে রথের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ঘরে-বাইরে চীনের দমননীতি এবং চীন সরকার কীভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্যবস্থাকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তা তুলে ধরা।