ভয়াবহ দুর্যোগ এরইমধ্যে অন্তত ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, লাখো মানুষকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টেক্সাস থেকে দক্ষিণপূর্বাঞ্চল এবং মাইনের গ্রেট লেকস হয়ে আসা এ ঝড়ের কারণে শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোররাতে টেক্সাস থেকে মিশিগান পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় গতির বাতাসের ঝাপটা, গলফ বল আকৃতির শিলা এবং পাঁচ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার্ তুষারপাত ঘটিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে।
রোববার ইলিনয়, মিশিগান, নিউ ইয়র্কের উত্তরে এবং নিউ ইংল্যান্ডে ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
“বাতাস এবং বরফ মিলে সত্যিকারের বিপদ নিয়ে আসছে,” বলেছেন এনডব্লিউএসের পূর্বাভাসদাতা বব ওরাবেক।
শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণ এবং উত্তরপূর্ব এলাকার রাস্তাঘাট ও মহাসড়ক দেড় সেন্টিমিটারেরও বেশি বরফে ঢাকা পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
“বরফ এবং বাতাসে গাড়ি চালানো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অন্যান্য ক্ষতি করতে পারে,” বলেছেন ওরাবেক।
ঝড়ের কারণে এরইমধ্যে আলাবামা, মিসিসিপি, কেন্টাকি, টেনেসি এবং আরকানসোর দুই লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, জানিয়েছে পাওয়ার আউটেজ ডট ইউএস ওয়েবসাইট।
তবে শনিবার বিকাল নাগাদ টেক্সাস, মিশিগান এবং ইলিনয়ের অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
শিকাগোর ও’হারে বিমানবন্দরে হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল এবং শতাধিক ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লাইটওয়্যার ডটকম।
আরকানসো এবং মিসৌরিতে কয়েকটি টর্নেডো বেশকিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা ধ্বংস করেছে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসদাতারা জানিয়েছেন।
লুইজিয়ানা, আরকানসো, টেক্সাস ও ওকলাহোমার এক কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ টর্নেডো এবং বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যার ঝুঁকিতে আছেন বলে জানিয়েছে এনডব্লিউএস।
শীতকালীন এ ঝড় পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় শনিবার রাতের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় অনেক অঙ্গরাজ্যে বৃষ্টি থেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ওরাবেক।
তবে উত্তর পূর্বাঞ্চল ও নিউ ইংল্যান্ডে বিরূপ এ আবহাওয়া আরও একদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।